Smartphone জানাবে ক্যান্সার বাড়ছে না কমছে

smartphone

চিকিৎসার পর ক্যান্সার বাড়ছে নাকি কমছে জানিয়ে দিবে Smartphone। এমন একটি অ্যাপ বানিয়েছেন গবেষকরা। কেমোথ্যারাপি বা নিয়মিত ঔষধ গ্রহনের পর রোগীর অবস্থা কেমন জানাবে অ্যাপস।

ডাক্তার যে ঔষধ দেন, তা গ্রহনের পর কোষগুলির বৃদ্ধি হচ্ছে অনেক সময়। যা কেউ বুঝতে পারেনা। কেমোথ্যারাপি/ঔষধ নিয়মিত রোগী নিয়ে গেলেও অনেক সময় কোন উন্নতি হয়না। বরং ক্যান্সার কোষগুলিই কেমোথ্যারাপির উপকরণকে নির্বিশেষ করে দিচ্ছে। যার ফলে কেমোথ্যারাপির পরেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এবার সব কিছুই রোগী জানতে পারবে স্মার্টফোনের সাহায্যে।

প্রতিটি মানুষের ভিতরে ভিন্ন জিন বিদ্যমান। এবং প্রতিটি মানুষের ডিএনএ এর গঠনও ভিন্ন। এই অ্যাপটি পুর্বে রং এবং গঠন কেমন ছিল খুজে দেখব। এখন কি অবস্থা সবকিছুর উপর নজর রেখে ফলাফল দিবে।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল “ন্যাচার কমিউনিকেশন” এ দুইদিন আগে গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। যা সারা পৃথিবীতে সারা ফেলেছে। লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্টকহলম বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষকরা এর পিছনে কাজ করছেন। এদের সাথে আরও সহযোগিতায় রয়েছেন এক ভারতীয় মহিলা।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপিকা শোভা তার ই-মেইলে লিখেছেন, ক্যান্সার বা যক্ষ্মার মত রোগ গুলিকে কোন ভাবেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার প্রধান কারন প্রতিটি দেহের জিন সজ্জা বা ডিএনএ এর গঠন ভিন্ন। এর এই গঠন দ্রুত বদলাতে থাকে। আর এটা নির্ভর করছে ক্যান্সার কোষ গুলি যেভাবে নির্বিষ করছে ঔষধের বিষকে তার উপর। এর জন্যই ডিএনএ এর অনুর গঠন এবং জিনের রং বদলে যাচ্ছে।

তাই সবচেরে বেশি দরকার জিনের উপর নজর রাখা। এটা কতটা বাড়ছে বা কমছে। এর আগে ডাক্তার রা ল্যাবরেটরিতে স্যাম্পল পাঠিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন। কিন্ত ল্যাবরেটরির খরচ কম নয়। তাই এত বেশি খরচ সব রোগীর পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এবার তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই কাজটি করতে পারবে।

নতুন অ্যাপের ফোনে যা যা থাকছে-

১। ফোনটি হবে থ্রিডি প্রিন্টেড।

২। এর বাইরের দিকে থকবে দুইটি লেসার, একটি সাদা এলইডি, একতি জোরালো লেন্স এবং একটি ফিল্টার।

৩। এই ফিচার গুলি ফোনের ক্যামেরাকে মলিকিউলার মাইক্রোস্কোপে পরিনত করবে।

৪। এর সাহায্যে পদার্থের অনু গুলিকে দেখা যাবে।

যত খরচ পড়বে-

এই প্রযুক্তির জন্য প্রতিটি রোগীর ৫০০ মার্কিন ডলারের মত খরচ পড়বে। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৪০০০ বা ৩৫০০০। এর সাহায্যে ক্যান্সার বা যক্ষ্মা রোগীদের খরচ অনেক কমবে।

Online Shopping সাইটগুলির জন্য সুখবর

Online Shopping
পুরো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের স্বর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন এর ছোয়া পড়েছে। এ বছর সবচয়ে যে ক্ষেত্রটি বেশি ডেভলপ করেছে তা হলো তথ্য প্রযুক্তিতে । তথ্য প্রযুক্তির একটি বড় অংশ হলো online shopping site যা সবাই ই-কমার্স হিসাবে চিনে থাকি ।

বহিঃবিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো শপিংমল এর থেকে online shopping সাইটগুলো বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । এবং online shopping সাইট মানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়ে আসছে । মানুষের পছন্দ মতো নিত্য নতুন মডেলের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসছে।

বাংলাদেশও সমান তালে এগিয়েছে । বেশ কিছু মান সম্পন্ন online shoppingসাইট বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে । shopping সাইট গুলো মানুষের চাহিদা মতো পণ্য আনতেছে এবং মানুষের সময় এবং বিরক্তিকর জ্যাম থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য হোম ডেলিভারী এর ব্যাবস্থা করেছে ।

online shopping সাইটগুলো বাংলাদেশে যতটুক প্রসার করা দরকার ছিল । তুলনামুলকভাবে তার ৭০% প্রসার করতে পারেনি। তার একমাত্র কারণ হলো ডেলিভারি ব্যাবস্থা। বর্তমান online shopping সাইট গুলো শুধু মাত্র ঢাকা এবং ৬৪ জেলা পর্যায়ে ডেলিভারী করে থাকে। এই সব জায়গায়তেও ডেলিভারী করতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার কারণে । যেভাবে ই-কমার্স সাইট এর প্রসার হবার কথা ছিল তা হয় নাই।

আশা করছি এবার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এক সঙ্গে কাজ করতে পোস্ট অফিস ই-কমার্সের উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ পোস্ট বক্স (জিপিও) কার্যালয়ে বাংলাদেশে ডাক বিভাগের পোস্ট ই-কমার্স সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা তালিম।

তারানা হালিম বলেন, ঢাকা শহরের এগারোটি স্থানে পোস্ট ই-কমার্স সার্ভিস দেওয়া হবে। জিপিও ঢাকা, শান্তিনগর, গুলশান, বনানী, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, নিউমার্কেট, উত্তরা এবং তেজগাঁও পয়েন্টে এ সার্ভিস দেওয়া হবে।

তারানা আরো বলেন, এ সার্ভিসের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাবেচায় গ্রাহকরা একদিকে যেমন কম খরচে উন্নত সেবা পাবে, অন্যদিকে পোস্ট অফিসে সার্ভিসের ধরনও বদলে যাবে। ফলে ই-কমার্স সার্ভিস হবে পোস্ট অফিসের আয়ের অন্যতম উৎস।একদিন অ্যামাজান ও আলিবাবার চেয়ে এ সার্ভিস এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও ই-ক্যাবের মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে ই-কমার্সে পণ্য ডেলিভারি সার্ভিস। এর মধ্য দিয়ে আজ থেকে ঢাকা শহরের এগারোটি স্থানে পোস্ট ই-কমার্স সার্ভিস চালু হলো।

আশা করছি ধীরে ধীরে পুরো বাংলাদেশে এই ডেলিভারি পদ্ধতি চালু হবে । আশা করা যায় ২০১৭ সাল ই-কমার্স অঙ্গনে বড় ধরণের পরিবর্তরন এর সুবাতাস লাগবে।

Category